অচিন ভূবনে যেতে পারেনি পাখীঃ প্রেমিক শ্রীঘরে

0
887

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ পাসে নেই তুমি, কি করি আমি। পাখী,যদি হতাম আমি এই জীবনে, তোমায়,নিয়ে উড়ে যেতাম অচিন ভূবনে। তুমি,কি যাবে আমার সাথে? পাখী অচিন ভুবনে উড়াল দিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করা হলোনা পাখীর স্বপ্নে জীবন সাথী রাজুর । প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করায় রাজুর ঠিকানা হলো খালিশপুর থানার শ্রীঘরে । খুলনার হাজী মাহাসিন কলেজের প্রথত বর্ষের ছাত্রী হাফিজা আক্তার পাখী(১৬) ভাইগ্না রাজু নামের ফেসবুক আইডির সাথে বন্ধুত্ব করেন । বন্ধুত্বের পরিচয়ে পাখীর সাথে ভাইগ্না রাজুর সাথে প্রায় চ্যাংটিং হয় । এর পর কথা শুরু হয় ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিং এর মাধ্যমে । হায় হ্যালো দিয়ে শুরু হওয়া নিজেদের মধ্যে হয় সম্পর্ক তৈরি করে মোবাইলে চুটিয়ে প্রেম চলছিল দুজনের । আর এই সম্পর্কটি এক পর্যায়ে গভীর প্রেমে মগ্ন হয়ে ফেসবুক প্রেমিকের সাথে ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেন্বর সকালে বাসা থেকে কলেজের যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে প্রেমিকে হাত ধরে অজানার উদ্দ্যেশে পাড়ি । ফেসবুক প্রেমিক দুইটি হত্যাসহ ৫টি মামলার আসামী প্রেমের নেশায় সেটা ভুলে গিয়েছে পাখী । ষোড়শী কন্যার এ ভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি তার পিতা আলী আজিম । তার অভিযোগ কলেজ পড়ুয়া তৃতীয় কন্যা হাফিজা আক্তার পাখীকে জোর পূর্বক তুলে নিয়েছে পাবলা কেশবলাল সড়কের এক সময়ের বাসিন্দা ও বর্তমানে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সরমহল গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলীর পুত্র মোঃ রাজু । এ ঘটনায় কলেজছাত্রী পাখীর পিতা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় একটি নারী শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন ।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে,খুলনা বিভাগীয় ট্যাংলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ আলী আজিমের কন্যা হাফিজা আক্তার পাখী ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে রাজু ওরফে ভাইগ্না রাজুর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জরিয়ে পড়েন । পাখী ও রাজুর প্রেমের সম্পর্ককে পরিনয় করতে তারা দুজনে অজানা উদ্দেশ্যে ঘর ছাড়েন । কিন্ত তাদের ফেসবুক প্রেমের পরিনয়ে বাঁধা হয়ে দারালো পাখীর পরিবার । ১৯ সেপ্টেন্বর রাজু ও পাখি বাড়ি ছেরে চলে গেলে ওইদিনই পাখীর পিতা ট্যংকলরী শ্রমিকনেতা আলী আজিম খালিশপুর থানায় একটি নারী শিশু আইনে মামলা করেন । মামলার ভিকটিম উদ্ধারে খালিশপুর থানা পুলিশ প্রথমে বরিশাল এর পর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান । অভিযানের এক পর্যায়ে ঢাকার দক্ষিন খাঁন এলাকা থেকে খালিশপুর থানার এস আই মোঃ শাহ আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ পাখী ও রাজুকে আটক করে রাত সাড়ে ৯টায় খালিশপুর থানায় নিয়ে আসেন । পুলিশ জানায় রাজুর নামে দৌলতপুরসহ বিভিন্এন থানায় হত্যাসহ ৫টি মামলা রয়েছে । রাজুর নামে একাধিক মামলা থাকার কথা শুনে তার প্রেমিকা হাফিজা আক্তার পাখী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ।