ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার আরও কমে ৪.৫%!

0
505

খুলনাটাইমস অর্থনীতি : দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাতমাসেই ঘাটতি ৭.২ লক্ষ কোটি রুপিতে পৌঁছেছে, যা সারাবছরের আনুমানিক ঘাটতির পরিমাণের থেকেও বেশি। পূর্বের সকল আশঙ্কা সত্য প্রমাণ করে, ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার আরও কমলো। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৪.৫ শতাংশে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, অক্টোবরে আটটি প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রের উৎপাদন সরাসরি ৫.৮% কমেছে। অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাতমাসেই ঘাটতি ৭.২ লক্ষ কোটি রুপিতে পৌঁছেছে, যা সারাবছরের আনুমানিক ঘাটতির পরিমাণের থেকেও বেশি। এক প্রতিবেদনে এমনটিই জানিয়েছে আনন্দবাজার। এর আগে, ২০১২-১৩ এর জানুয়ারি-মার্চে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ৪.৩% এ নেমে এসেছিলো। সেই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার মাত্র ৪.৫% ছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিনমাস, এপ্রিল থেকে জুনে বৃদ্ধির হার ছিল ৫%। পরের তিনমাসে তা ৪.৫% এ নেমে আসায় এই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬% পার হতে পারবে কিনা, তা নিয়েই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে বৃদ্ধির হার মাত্র ৪.৮%। যা গতবছরে ছিলো ৭.৫%। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি (জেএনইউ) এর অর্থনীতির অধ্যাপিকা জয়তী ঘোষের মতে, বেকারত্বের হার, সংসারের খরচ কমে যাওয়া, গাড়ি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিক্রি কমা, একের পর এক সংস্থার ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার মতো অর্থনীতির অন্যান্য মাপকাঠি পরিস্থিতির চরম ভয়াবহতার কথাই বলছে। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অর্থনীতির অবস্থাকে “গভীরভাবে চিন্তাজনক” বলে আখ্যা দিয়েছেন। সেদেশের বাজারে কেনা-বেচা কমেছে। কারখানার উৎপাদনে অবনতি। বেসরকারি বিনিয়োগ মুখ থুবড়ে পড়া। বিশ্ববাজারে মন্দার ফলে রফতানিতেও ভাটার টান। অর্থনীতির চারটি ইঞ্জিনই ঠিক মতো না চলায় তার ধাক্কা লেগেছে দেশটির অর্থনীতিতে। এদিকে, ভারত সরকারের তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘মোদী সরকারের কাছে জিডিপি-র অর্থ এখন গডসে ডিভাইড পলিটিক্স।’’ সিপিএম এর সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘সব পদে ইয়েস ম্যান বসিয়ে, কৃষকদের সঙ্কট থেকে চোখ-কান বুজে থাকার ফল। এটা মোদীর নিজের তৈরি করা বিপর্যয়।’’