দেবহাটায় সাঁপমারা খালের ভিতরে চলছে দখলের প্রতিযোগিতা

0
337

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় সাঁপমারা খালের ভিতরে চলছে দখলের প্রতিযোগিতা। সরকারের উনিশ কোটি টাকার কাজ শেষ হতে না হতেই ভেস্তে দেওয়ার পায়তারা করছে কিছু প্রভাবশালী। একে কাজ শেষ হওয়ার আগেই পাড়ের মাটির ধ্বসে পুনরায় পুরন হচ্ছে খাল। কাজে দুর্নীতি আর অনিয়মের মধ্যে যে টুকু কাজ হচ্ছে তাও বিফলে যাওয়ার উপক্রম এমনটাই বলছে অনেকে। মাস শেষ হতে না হতেই ভরাট হওয়ার উপক্রম।ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের কয়েক কোটি টাকার প্রকল্প। এলাকায় স্বস্থি পেল হাজার বিঘা জমির মৎস্য উৎপাদনকারী শত শত ঘের ব্যবসায়ী। খাল কাটানোর সময় খালের গতিপথ পরিবর্তন করে প্রভাবশালীদের বাঁচাতে অসহায়দের ভোগ দখলীয় জমিতে খাল-খনন করার অভিযোগও উঠেছিল সে সময়। তাছাড়া এখনও রয়ে গেছে প্রভাবশালী প্রতিপত্তিদের ভবনসহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিছু কিছু স্থানে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে প্রভাব শালী টাকা ওয়ালাদের ঘর।বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবদ্ধতা নিরসনে বদ্ধ পরিকর। তাই তিনি এদেশের নদ-নদী, খাল-বিল, হাওড়-বাওড়সহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করেছেন। যার ধারাবাহিকতায় আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার সংযোগ হওয়া সাঁপমারা খাল খননকল্পের কাজ স¤প্রতি নয়-ছয় করে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। যখন বিশ্ব ব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আতঙ্কিত। প্রশাসন, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ সহ বিত্তবানরা এর প্রভাব মুক্ত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এসুযোগ কাজে লাগিয়ে পারুলিয়া সাপমারা খালের পাড়ের প্রভাবশালী দখলদাররা আবারো নতুন করে দখলের খেলায় মেতে উঠেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সখিপুর বাজার সংলগ্নর পারুলিয়া-সখিপুর ব্রীজের পাশ্ববর্তী স্থানে খালের ভিতরে প্রথমে রড দিয়ে পাকা কংক্রিটের পাচিল দেয় জনতা ফার্ম্মেসীর শর্তাধীকারী দেব কুমার ওরেফ দেবু বিশ্বাস। সেসময় স্থানীয় কিছু উপজেলা সন্তান কমান্ডের ব্যানারে মানববন্ধন করলে দেবু বিশ্বাসের কাজটি সেখানেই বন্ধ হয়ে যায়। পরে শুরু করে তার ভাই হোটেল ব্যবসায়ী সুনীল বিশ্বাস। বর্তমানে নতুন করে ঠিক অপর পাড়ে সরকারি জায়গায় গাছের গুড়ির পাইলিং তৈরি করে ভরাটের কাজ শুরু করেছে মায়াজাল শফিং স্টোরের শর্তাধীকারী সামছুর রহমান খোকন। এ যেন খাল দখলে মহা উৎসবে মেতে উঠেছে দুপাড়ের প্রভাবশালী। এখানে খালের আয়তন চিকন হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে গভীর শ্রোত। এভাবে চলতে থাকলে খালটি ভরাট হয়ে আবারো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় জনসাধারণ। এ ব্যপারে মায়াজাল শফিং স্টোরের শর্তাধীকারী সামছুর রহমান খোকন জানান, উক্ত জায়গাটি আমি ৯৯বছরের বন্দবস্থ নিয়েছি। ওটা আমার জায়গা।