দিল্লিতে বায়ুদূষণের অভিযোগে ৮৪ কৃষককে আটক

0
298

খুলনাটাইমস বিদেশ : বৃষ্টিতে দিল্লির বায়ুদূষণ কিছুটা কমলেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে কলকাতা, চেন্নাইসহ বেশ কয়েকটি শহরে। বৃহস্পতিবার রাতে শহরগুলোয় বায়ুদূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়। এদিকে বায়ুদূষণে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পাঞ্জাবের ৮৪ কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। তবে কৃষকদের দাবি, খড় পোড়ানো ছাড়া তাদের অন্য কোনো উপায় নেই। গেল দু’সপ্তাহ ধরে দূষণের ঘেরাটোপে বন্দি দিল্লিবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিল বৃহস্পতিবারের এ বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর জানায়, বৃষ্টিতে পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। গত তিন চার দিনের চেয়ে পরিস্থিতি এখন অনেকটা ভালো। একেবারে স্বাভাবিক হতে হলে প্রচুর বৃষ্টি হতে হবে। আশার কথা হচ্ছে বৃষ্টি এর মধ্যে শুরু হয়েছে। তবে পর্যটকরা এখনও দিল্লিতে নিরাপদ বোধ করছেন না। এমনকি স্থানীয়রাও নিরাপদ ঠাঁইয়ের খোঁজে দিল্লি থেকে ছুটছেন অন্য জায়গায়। এক পর্যটক বলেন, প্রথমবার দিল্লিতে এসেছি। কিন্তু এখানকার পরিবেশ এতটা খারাপ হবে ভাবতে পারিনি। আরেকজন বলেন, দিল্লিতে ভয়াবহ অবস্থা। পরিবারের সবাই মিলে এখানে এসেছি শুধু বিশুদ্ধ পরিবেশের কারণে। এদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় খড় পোড়ানো অব্যাহত আছে। এরইমধ্যে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে পাঞ্জাবের ৮০ জনের বেশি কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও অন্তত ২০০ কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। একজন কৃষক বলেন, আমরা ধান চাষ করতে চাই না। আর যদি চাষ না করি তাহলে খড় পোড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। সরকারকে বলেছি, ধানের পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবস্থা করে দিতে। সেটা তারা করেনি। এমনকি আমরা ধানের নায্য মূল্য পাই না। তাই পোড়াতে বাধ্য হচ্ছি। আরেকজন বলেন, আমরা যখন খড় পোড়াই তখনই শুধু বায়ুদূষণ হয়। আর বছরের বাকি ১১ মাস কোম্পানি ও যানবাহন যে পরিবেশ দূষণ করে যাচ্ছে তা সরকারের চোখে পড়ে না। সব দোষ কৃষকের। দেশটির তথ্য মতে, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে বছরে এক কোটি ৮০ লাখ টন ধান উৎপাদন হয়। তাই দিল্লির বায়ুদূষণের জন্য তাদের খড় পোড়ানোকেই দায়ী করছে দিল্লি সরকার।