ঢাকা অফিস: বঙ্গোপসাগরে তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করা জেলে এবং যাত্রীদের যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সমুদ্রে নেটওয়ার্ক অবকাঠামো শক্তিশালী করার কাজ সম্পন্ন করেছে গ্রামীণফোন। সম্প্রতি বরগুনা জেলার উপকূলবর্তী পাথর ঘাটায় নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করার কার্যক্রম এবং সংশ্লিষ্টি ডিজিটাল সার্ভিস উদ্বোধন করেন গ্রামীণফোন এর ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান।
মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত এসব জেলেরা সমুদ্রে দীর্ঘ সময় অবস্থানকালে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকতো। গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করায় সমুদ্র পথে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত লক্ষাধিক জেলেরা এখন সার্বক্ষনিক পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়েও তারা আগাম জানতে পারবে মোবাইলের মাধ্যমে। গ্রামীণফোনের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমুদ্রগামী জেলেদের ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তি, ইনসুরেন্স ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সেবা ও মাছ ধরার নৈাযানগুলোকে ট্রাকিং করা যাবে।
গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরন ২ দুই ধাপ সম্পন্ন করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৭টি পয়েন্ট থেকে এই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। কক্সবাজার, কুয়াকাটা, ভোলার চর, কুকরিমুকরি ও পটুয়াখালীর চর মন্তাজ কেন্দ্র করে স্থাপিু গ্রামীণফোনের এ নেটওয়ার্ক এর সুবিধা পাওয়া যাবে । অত্র অঞ্চলে আনুমানিক ৫৭৫,০০০ জন জেলে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।
সমুদ্র পথে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, “জাতীয় রাজস্ব আয়ে উপকূলীয় অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণে উপকূলে বসবাসরত জেলে সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং ডিজিটাল সার্ভিসের সহায়তায় সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত মাঝি ও জেলে ভাইদের জীবন আরও সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত করা যাবে।”
প্রতিবছরই উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ অসংখ্য প্রাণহানির কারণ হওয়া ছাড়াও বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি সাধন করে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বছরে প্রায় ৪ হাজার ৫শ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও, জলদস্যুদের কারণেও মৎস্যসম্পদ আহরণ ও সামুদ্রিক পরিবহণ খাত বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়। গ্রামীণফোনের এ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী কার্যক্রমের ফলে এখন থেকে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের সাথে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জেলেদের যোগাযোগ প্রক্রিয়া সহজ হবে ।