জনপ্রতিনিধি নন, তবু নীরবে-নীভৃতে জনসেবা করে যান সোনাডাঙ্গা থানা আ’লীগ নেতা রাজু

0
1027

শবে তাইয়্যেব ইবনে প্রিয়তি:
জনপ্রতিনিধি নন, তবু নীরবে-নীভৃতে জনসেবা করে যাচ্ছেন এসএম রাজুল হাসান রাজু। সে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সোনাডাঙ্গা থানা শাখার সহ-সভাপতি। করোনায় উদ্ভ‚ত পরিস্থিতির শুরু থেকেই তিনি তার বসবাসরত এলাকা কেসিসি’র ১৮নং ওয়ার্ডের প্রায় ৪ সহ¯্রাধিক অসহায় ও কর্মহীন পরিবারের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল’র নির্দেশে তার এই সহায়তা কর্মসূচির আয়োজন। এর অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন কেসিসি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। ‘সংকট যতদিন, সহায়তা কর্মসূচি চলবে ততদিন’ এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করেন এই নেতা। তার মতে, দেশের যেকোন সংকট মূহুর্তে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। সে আরও জানায়, জাতীয় সংসদ ও সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকালীন যেভাবে দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছি, তেমনি প্রত্যেকের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা রাজুর সহায়তা কার্যক্রমের মধ্যে আছে, চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, পেয়াজ, ডিম, সবজি এর সমন্বয়ে খাদ্যদ্রব্যের মোড়ক। তার এই খাদ্যপণ্য বিতরণের বেশিরভাগই ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া হয়েছে। একইসাথে চলছে তার শিশুখাদ্য বিতরণও। পরিবারের মধ্যে ছোট্ট শিশুর জন্য প্যাকেটজাত দুধও বিতরণ করেছে এই নেতা। আর নগদ সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন ওই এলাকা অস্বচ্ছল ও হতদরিদ্র পরিবারের জন্য।
আরও জানা গেছে, ওই এলাকার ইমাম, মুয়াজ্জিন ও পুরোহিতদের পাশাপাশি বাক-শ্রবণ সহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচি চালু রেখেছেন এসএম রাজুল হাসান রাজু। যার মধ্যে আছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, পোষাক, ফল-ফলাদি বিতরণ।
বলা বাহুল্য, খুলনা নগরীতে করোনার সম্মুখ যোদ্ধা, সিনিয়র স্টাফ নার্স শিলা রানী দাস করোনা আক্রান্ত হলে, তার ও বাসায় কাজের লোকের পরিবারটিকে হয়রানির শিকার হতে হয়। তারা একপ্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ওই এলাকার গুটি কয়েক ব্যাক্তির জন্য। এসংবাদ পাওয়া মাত্রই আওয়ামী লীগ নেতা রাজু শীলা রাণীর কাজের লোকের বাসায় প্রায় এক সপ্তাহের বাজার পৌছে দেন। সেই সাথে ওই পরিবারের ছোট্ট শিশুটির জন্য দু’প্যাকেট দুধ পাঠিয়ে দেন।
সরেজমিনে এই প্রতিবেদককে এসব তথ্য নিশ্চিত করে ৫ সদস্যের এই পরিবার জানান, আওয়ামী লীগ নেতা রাজু জানিয়েছেন, যেকোন প্রয়োজনে তাকে মুঠোফোনে জানালেই চাহিদা পূরণ করা হবে। তাছাড়া এপ্রতিবেদকের কাছে তখন শীলা রাণী দাসের একমাত্র মেয়ে বর্ণনা দেন, তার ও তার কাজের লোকের পরিবারের উপর গুটি কয়েক ব্যাক্তির ভয়াবহ গালমন্দ ও দূর্ব্যবহারের। অবশ্য, রাজনীতিক, পুলিশ ও প্রশাসনের তড়িৎ পদক্ষেপে এই ঘটনার সুরহা হয়।