ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ সতর্কতায় কয়রা উপকূলে  মাইকিং, খুলেছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ

0
563
ওবায়দুল কবির (সম্রাট) : কয়রা :-
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে  উপকূলীয় কয়রা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকাবাসীকে এ ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জানিয়ে উপজেলার  তীরবর্তী অঞ্চলে মাইকিং করা হচ্ছে ও  উপজেলা প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে খোলা হয়েছে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
কয়রা  উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা জানান, দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়রা উপজেলার  উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের সর্তকতা জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ১১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবেলায় আশ্রয় কেন্দ্রের  পাশাপাশি ওই সব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ও ১৪ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বক্ষনিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কয়রা  উপজেলা টিমলিডাররা জানান, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সিপিপি উপজেলার ১ হাজার ৪০ জন  স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জানিয়ে তারা নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং শুরু করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও সিসিপি পাশাপাশি  কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ঝূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জান বাবুর  নির্দেশে যে  কোন পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে আছে বলে জানান কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু। তিনি আরও জানান ইতি মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা বাংলাদেশর সর্বদক্ষিণের ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাধঁ এলাকা দক্ষিণ বেদকাশিতে সর্তকতা মাইকিং করেন।