খুলনায় চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের আমদানি ৪০ শতাংশ : খুচরা মূল্য কেজিতে ৪৫ টাকা

0
534

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারত নির্ভরশীল দক্ষিণাঞ্চলের পেঁয়াজের বাজার। সে দেশে মূল্য বাড়ার কারণে আমদানিকারকরা নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি করতে সাহস পাচ্ছে না। খুলনার সোনাডাঙ্গাস্থ পাইকারি বাজার ও বড় বাজারের কদমতলায় বিদেশি পেঁয়াজ আমদানি ৬০ শতাংশ কমেছে। এ মাসের প্রথম সপ্তাহের তুলনায় খুচরা বাজারে দেশি বিদেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে কেজিপ্রতি গড়ে ১০ টাকা। শনিবার স্থানীয় বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পেঁয়াজ ওঠার মৌসুমে গোপালগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়ায় বৃষ্টি হয়। আবাদকৃত পেঁয়াজের বড় একটি অংশ নষ্ট হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই খুলনার আড়ৎগুলোতে দেশি পেঁয়াজের আমদানি কম।
খুলনার পাইকারি ব্যবসায়ী তাঁজ ট্রেডিং’র ম্যানেজার মহিউদ্দিন মঈন জানান, ভারতের আমদানির ওপর দক্ষিণাঞ্চলের পেঁয়াজের বাজার নির্ভরশীল। সে দেশে মূল্য বেশি হওয়ায় খুলনার পাইকারি বাজারগুলোতে দাম বেড়েছে। লোকসান এড়াতে আমদানিকারকরা চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানি করছে না। চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি ৬০ শতাংশ কমেছে।
অপর পাইকারি ব্যবসায়ী সোহেল ট্রেডিং’র মালিক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, পেঁয়াজের পাশাপাশি রসুনের মূল্যও বেড়েছে। এবারে দক্ষিণাঞ্চলে রসুনের চাষ কম হয়েছে। শনিবার পাইকারি বাজারে দেশি রসুন প্রতি কেজি ১শ’ টাকা এবং চীন থেকে আমদানি করা রসুন ১৬০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়।
নিউ মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী রুস্তম আলী জানান, দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে মূল্য কম ছিল। ক্রেতার চাহিদা ৫ কেজি থাকলেও কিনছেন ২ কেজি।
শেখপাড়ার খুচরা ব্যবসায়ী ওমর ফারুক জানান, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের তুলনায় দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ প্রতি কেজির মূল্য গড়ে ১৩ টাকা করে বেড়েছে। তিনি জানান, খুচরা বাজারগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজের মজুদ কমেছে।