খুলনায় এক কাটার বসতভিটা জবর দখলে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা

0
384

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা নগরীর গল্লামারী পুরাতন দরগাহ রোডের শামসুদ্দিন সড়কের পাশে প্রায় দেড় যুগ পূর্বে ক্রয়কৃত এক কাটা জমির বসতভিটা জবর দখলের চেষ্টা করছে স্থানীয় চিহিৃত ভূমিদস্যুরা। সন্ত্রাসীরা বারবার হামলা চালিয়ে মারপিট ও লুটপাট করলেও মামলা নিচ্ছে না থানা পুলিশ। আদালতে মামলা দায়ের করেও সুরাহা না পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, কেসিসি মেয়র ও প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন বৃদ্ধা হালিমা বেগম।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন তিনি। তারপক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার মেয়ে মোছাঃ মর্জিনা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ২০০৩ সালে খুলনা থানাধীন ২৪নং ওয়ার্ডের গল্লামারী পুরাতন দরগাহ রোডের শামসুদ্দিন সড়কে বানিয়াখামার মৌজায় সিএস ৫৫১২ দাগের এসএ ৬৫১৭ নম্বরে সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে মাত্র এক কাটা জমি মৃত হাজী সমসুদ্দিন নালা মেম্বরের ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেনের কাছ থেকে ক্রয় করেন তার স্বামী মরহুম হোসেন আলী মোল্লা। তিন বছর পূর্বে ইন্তেকাল করেন তার স্বামী। তারপরও শান্তিতেই বসবাস করছিলেন তারা। স¤প্রতি কেসিসি উচ্ছেদ অভিযানে তাদের ঘরবাড়ী ভেঙে দিলে জানতে পারে আসল ঘটনা। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে-জমি বিক্রেতা রেজিষ্ট্রি দলিলকৃত সম্পত্তি না দিয়ে দখল বুঝিয়ে দেয় সরকারি খাস জমি। হতদরিদ্র অশিক্ষিত মানুষ হওয়ায় তারা এ চক্রান্ত বুঝতে পারিনি। উচ্ছেদের পর কেসিসি’র সার্ভেয়ার জমির দলিলপত্র দেখে জমির পজিশন দেখিয়ে দিলে সেখানে কুঁড়িঘর বেঁধে বসবাস শুরু করে। গত ১৪ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় মৃত নালা মেম্বরের জামাই সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু আশিকের নেতৃত্বে তার ছেলে আজিজুল ও সিয়ামসহ ৪০-৪৫জনের গুন্ডা ভেঙে গুড়িয়ে দেয় তাদের মাথা গোজার ঠাঁই কুঁড়েঘর। তাকে বেধড়ক মারপিট করে ঘরে থাকা আমার ছেলের ল্যাপটপ, দু’টি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এব্যাপারে কয়েকবার থানায় গেলেও অদৃশ্য কারণে মামলা নেননি অফিসার ইনচার্জ (ওসি)। এরআগে বহুবার আমাদের ঘরবাড়ী ভেঙে তাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেছিল ওই ভূমিদস্যুরা। এরআগে, গত ১ সেপ্টেম্বর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মোঃ ইকবাল হোসেন, আশিক ও তার স্ত্রী রাজিয়াকে বিবাদী করে খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন (যার নং-২৪, ০১-৯-১৯ইং)। এতো কিছু পরও ক্ষ্যান্ত না হয়ে তারা বলছে- সামান্য কিছু টাকা নিয়ে জায়গা খালি করে খুলনা ছেড়ে চলে যেতে। অন্যত্থায় তাকে ও তার ছেলেমেয়েকে জীবনে শেষ করে দেবার হুমকি দিচ্ছে ওই সন্ত্রাসীরা।