খুলনার পাইকারী ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি গড়ে ২০টাকা কমেছে

0
1000

নিজস্ব প্রতিবেদক
হিলি স্থল বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আসছে এ খবরে মহানগরীর কদমতলা, ট্রাক টার্মিনাল, পাইকারী ও খুচরা বাজার গুলোতে দাম কেজি প্রতি গড়ে ২০টাকা কমেছে। স্থানীয় আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান মজুদ রয়েছে। দাম বাড়ায় বিকিকিনি ৫০ শতাংশ কমেছে। ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় দেশী পেঁয়াজের দাম বেশি হলেও স্থানীয়রা কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরের উৎপাদিত পেঁয়াজ কিনছে।
হিন্দু সম্প্রদয়ের শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে ৪-৮ অক্টোবর বেনাপোলা স্থল বন্দর ও ভোমরা শুল্ক স্টেশন বন্ধ থাকবে। এ সময়ে স্থল বন্দর দিয়ে সকল প্রকার পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। শুক্রবার বিকেলে খুলনা পাইকারী বাজারে খবর আসে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে ট্রাক বোঝাই ভারতীয় পেঁয়াজ যশোর-খুলনায় আসবে। এ সংবাদের পর থেকে পাইকারী ও খুচরা বাজারে কেজি প্রতি গড়ে ২০টাকা দাম কমেছে। পাইকারী ব্যবসায়ী তাজ ট্রেডিং এর মালিক জানান, হিলি স্থল বন্দর দিয়ে কয়েক ট্রাক পেঁয়াজ যশোর-খুলনায় এসে পৌঁছাবে। আড়তে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা শর্তে ও ক্রেতা নেই। অপর পাইকারী ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, শনিবার দিনভর বিকিকিনি হয়নি। আমদানি সন্তোষজনক। আমদানিকৃত পেঁয়াজ (পুরাতন) ৮০ টাকার স্থলে ৬০ টাকা, আমদানিকৃত (নতুন) ৯০ টাকার পরিবতে ৭০ টাকা, দেশী ৮০ টাকার পরিবতে ৬০ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। শেখপাড়া বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মোঃ রফিক জানান, গতমাসে গড়ে ৩০ কেজি বিক্রি হলেও এ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১০ কেজির ওপরে বিক্রি হচ্ছে না। তার দেওয়া তথ্য মতে, আমদানিকৃত পেঁয়াজ গতকাল ৭৫ টাকা দরে এবং দেশী পেঁয়াজ ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ১শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নিউ মাকেট এর খুচরা ব্যবসায়ী মোঃ কবির হোসেন জানান, এ বছরের অক্টোবরে পেঁয়াজের দাম রেকড পরিমাণ। ক্রেতা প্রয়োজনের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম পেঁয়াজ কিনছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহানগরীতে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করা হয়। পেঁয়াজের বাজারে চলমান অস্থিতিশীল দুর করতে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন নেতৃত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুপ আলীর নির্দেশনায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগরীর কদমতলা স্টেশন রোডের পাইকারি বাজার তিন ব্যবসায়ীকে বেশি মুনাফা লাভের অপরাধে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরান খান ও দেবাশীয় বসাক।