কান্না আটকাতে পারেনি আঁখি আলমগীর

0
442

খুলনাটাইমস বিনোদন: শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর। ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ সিনেমার একটি গানে কণ্ঠ দিয়ে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। তারপর ১৯টি একক, ডুয়েট ও মিক্সসহ ৬০টির বেশি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। প্লেব্যাক করেছেন প্রায় দুই শতাধিক। কিন্তু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আর ধরা দেয়নি। বৃহস্পতিবার একসঙ্গে পরপর দুই বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের সেরা গায়িকার পুরস্কার যুগ্নভাবে পেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন ও আঁখি আলমগীর। ‘গল্প কথার ওই’ শিরোনামে গান গেয়ে এ পুরস্কার পেয়েছেন আঁখি। গানটি ‘একটি সিনেমার গল্প’ চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, এই গানটি সুর করেছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। তিনিও এই গানের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার পেয়েছেন। এমন সম্মাননা পেয়ে উচ্ছ্বসিত আঁখি আলমগীর। এ গান তৈরির পেছনের গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অসংখ্য জনপ্রিয় গান আর মানুষের ভালোবাসায় এতই বিভোর যে আর কিছু চাইনি। আর তখনই আমার সাথে ঘটল এক মধুর ঘটনা। কিংবদন্তি শিল্পী শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা আন্টি আমার জন্য গান সুর করলেন। তবে অনেক শর্তসহ। নিয়মিত আন্টির কাছে তালিম, সব কনসার্ট বাতিল, অস্ট্রেলিয়া ট্যুর বাতিল, শুধুই রেওয়াজ। বিশ্বাস করুন, মন খারাপ করে রীতিমতো কেঁদেছিলাম। বন্ধু ইমন সাহা আর আব্বু শুধু সাহস দিয়েছে। অবশেষে গানটা গেয়েছি, গাইতে পেরেছি।’ আঁখি আলমগীর আরো বলেন, ‘রেকর্ডিং বুথ থেকে বের হয়ে আন্টিকে জড়িয়ে ধরে সে কি কান্না। দেখি, বন্ধু ইমন মুচকি হাসছে। পরে বলল, দেখো এই গান তোমাকে কোথায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রুনা আন্টি এই গান শ্রদ্ধেয় লতাজিকে শোনান। তার কাছ থেকেও ভূয়সী প্রশংসা আসে। আমার ওস্তাদজি সঞ্জীব দে গানটি শুনে কেঁদে ফেলেন। গানটি শুনে আমার মাসহ আরো অনেক গুণী মানুষের চোখে পানি দেখেছি। গাইবার সময়েও আমি কান্না আটকাতে পারিনি। যেন আমারই জীবনের গল্প এই গান। আর গত কালকের ঘোষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৮-তে আমার নাম, এটা অভাবনীয় আনন্দের।’