আরও বেশি আমেরিকান মরবে: তালেবান

0
314

খুলনাটাইমস বিদেশ : প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি আলোচনা বাতিল করার সিদ্ধান্তে আরও বেশি আমেরিকানের প্রাণ যাবে বলে মন্তব্য করেছে তালেবান।গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে জঙ্গিদের ওপর সামরিক চাপ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি যখন জানাচ্ছিল তখন তালেবানের কাছ থেকে এ প্রতিক্রিয়া আসে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।প্রায় ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে চলা যুদ্ধ অবসানে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাতারের দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদের আলোচনা চলছিল। আলোচনার একেবারে শেষ পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তির ঠিক আগে শনিবার হঠাৎ এক সিদ্ধান্তে শান্তি আলোচনা বাতিল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।এর পরদিনই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে তালেবানের মুখ্য নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের গোপন বৈঠক করার কথা ছিল। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গেও বৈঠকের পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু গত সপ্তাহে কাবুলে চালানো এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় দায় তালেবান স্বীকার করার পর গোপন বৈঠক বাতিল করেন ট্রাম্প।গত বৃহস্পতিবার কাবুলে তালেবানের ওই হামলায় এক মার্কিন সৈন্যসহ ১২ জন নিহত হয়।তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ শান্তি আলোচনা বাতিল করার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জানিয়েছেন, ওই সময়ই মার্কিন বাহিনীগুলো আফগানিস্তানে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে।“এতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ক্ষতি হবে। তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণœ হবে, তাদের শান্তি-বিরোধী অবস্থান বিশ্বের কাছে প্রকাশ পাবে, জীবন ও সম্পদহানি বৃদ্ধি পাবে,” বলেছেন তালেবান মুখপাত্র।ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, আফগান শান্তি আলোচনা স্থগিত আছে এবং তালেবান উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতিগুলো মেনে চলছে এটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওয়াশিংটন আফগান সৈন্যদের জন্য দেওয়া মার্কিন সামরিক সমর্থন হ্রাস করবে না।রোববার এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে পম্পেও আরও জানিয়েছেন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার রূপরেখা প্রণয়ণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান বিষয়ক তাদের বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদকে ডেকে পাঠিয়েছে। আফগান শান্তি আলোচনার মৃত্যু ঘটেছে কি না, ‘ফক্স নিউজ সানডে’ অনুষ্ঠানে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে পম্পেও বলেন, “আপাতত।”প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী থাকার সময় থেকেই আফগানিস্তানের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় ইতি টানতে চাইছিলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি তালেবানের কাছ থেকে নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে আফগানিস্তান থেকে কয়েক হাজার সৈন্য প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছিল মার্কিন কূটনীতিকরা।দুপক্ষ একটি খসড়া চুক্তির বিষয়েও সমঝোতায় পৌঁছে গিয়েছিল। ক্যাম্প ডেভিডে ট্রাম্পের সঙ্গে তালেবান নেতাদের আলোচনার পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল।